রাজশাহীতে পরকীয়ার অভিযোগে গাছে বাঁধা প্রেমিক যুগল

রাজশাহীর দুর্গাপুরে পরকীয়ার অভিযোগে এনে এক প্রেমিক যুগলকে আমগাছের সঙ্গে বেঁধে রেখেছে এলাকাবাসী। বুধবার দুপুর থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তারা আমগাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। এদের পাহারা দিচ্ছিল গ্রাম পুলিশ ও স্থানীয়রা। তবে আটক দুজনের বক্তব্যে ভিন্নতা পাওয়া গেছে। উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের নান্দিগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আতিকুর রহমান নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, তাদের দুজনের আগে থেকে প্রেমের সর্ম্পক ছিল। একই জায়গায় তাদের বাড়ি। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তিনি বিল থেকে বাড়িতে আসার সময় আটক লোকটির বাড়িতে ‘অশালীন; কর্থাবার্তার আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল। তিনি জানালা খুলে তাদেরকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখতে পান। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঘরেই আটক করেন তারা। আতিক বলেন, তাকে নিয়ে একাধিকবার নারী ঘটিত বিচার ফয়সালা করা হয়েছে।
অভিযুক্ত পুরুষের দাবি, স্থানীয় কয়েকজন তাকে জোর আটক করে। তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ভুক্তভোগী নারী জানান, তিনি দুপুরে পটলের ক্ষেত থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় ওই লোকের বাড়ির কাছে এলে সে দুই হাজার টাকার লোভ দেখিয়ে ‘আপত্তিকর; প্রস্তাব দেয়। পরে তার ডাকে সাড়া দিয়ে ঘরে গেলে স্থানীয়রা তাদের আটক করে।
বিকাল ৫টার দিকে আটকদের পাহারা দিচ্ছিলেন সাইফুল ইসলাম নামে এক গ্রাম পুলিশ। তিনি চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাদের পাহারায় থাকার কথা জানান। চেয়ারম্যান ও গ্রাম্য মাতব্বর এলে স্থানীয়ভাবে বিষয়টা মিটিয়ে ফেলা হতে পারে, বলেন তিনি।
এ বিষয়ে নান্দিগ্রামের মাতব্বর আবু সাইদ বলেন, এলাকাবাসী আমাকে বারবার ফোন দিচ্ছে। আমি দোকান বন্ধ করে যাইতে পারছি না। তাদের বলে দিয়েছি- এ বিষয়ে তোমরা আইনের হাতে তোলে দাও। তারা আমার কথা শুনছে না। বিষয়টা স্থানীয়ভাবে সমাধান করবে বলে আমি তাদের না করে দিয়েছি। এরপরও কথা না শোনায়, বিকাল ৬টার দিকে দোকান বন্ধ রেখে সেখানে যাচ্ছি।
নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজাদ আলী সরদার বলেন, “আমি ওখানে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়েছি। আমি ঘটনাস্থলে যাইনি। কারণ, ধর্ষণের ঘটনার বিচার বা ফয়সালা করার অধিকার আমার নাই।”
দুর্গাপুর থানার ওসি দুরল হুদা বলেন, এলাকাবাসী থেকে জানানো হয়েছে, তারা পরস্পর বিয়ে করবে। যেহেতু তারা বিয়ে করতে চায়, তাহলে আমাদের কিছু করার নাই।
দুপুর থেকে আমগাছের সঙ্গে তাদের বেঁধে রাখা হয়েছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, তাদের বেঁধে রাখা হয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে তাদের বেঁধে রাখা যাবে না। আমি দ্রুত বিষয়টা খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
চাঁপাইবার্তা/ডিএন।।